ফুলকুমারী
"ফুলকুমারী" বইটিতে পিনাকি ভট্টাচার্য এক শরণার্থীর একাকীত্ব ও গল্প বলার শক্তিকে তুলে ধরেছেন। প্যারিসের লকডাউনে সে ইঁদুর ফুলকুমারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং তার অতীত জীবনের গল্প শেয়ার করে।
SHOBDOPOTH
All products

Details:
- প্রকাশনীঐতিহ্য
- লেখকপিনাকী ভট্টাচার্য
- পৃষ্ঠা সংখ্যা২৩৭
“ছেলেবেলায় শেখা একটা সুর বাজাতে যাব, এমন সময় ফোনটা কেঁপে ওঠে। ছেলের ফোন। নিশ্চয়ই তার ঘুমের সময় হয়েছে। বাবার মুখ না দেখে সে ঘুমোতে যায় না ভিডিও কলে। গত দুই বছর ধরে এভাবেই শুধু কথা বলার অনুমতি আমার।
- বাবা, তুমি সাবধানে আছো তো?
- আর কত সাবধান হব? তোকে ফেলে পালিয়ে এসেছি, এখন আবার ফ্ল্যাটের খাঁচায় বন্দি। যেন বেঁচে থাকাটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
- বেঁচে থাকাটা কি জরুরি না?
- জরুরি বইকি। কিন্তু শুধু বেঁচে থাকাটাই তো যথেষ্ট না রে বাবা!”
*
ফুলকুমারী মানে কী?
বইটার শুরু প্যারিসে কোভিডের লক ডাউন যেদিন শুরু হয়, সেদিন থেকে। লেখক তার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরছেন। অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়ে একটা ইদুর। ইদুরটা লেখকের পোষ মেনে যায়। তিনি নাম দেন ফুলকুমারী।
ফুলকুমারীকে লেখক গল্প বলতেন প্রত্যেকদিন; একটা করে অ্যারাবিয়ান নাইটসের মতো। জীবনের গল্প। সেই বগুড়ার শৈশব, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য, মুজিবের শাসন, মেডিক্যাল কলেজ জীবন, ছাত্র রাজনীতি, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, স্বল্পকালীন ডাক্তারী জীবন, অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট অ্যাক্টিভিজম, হাসিনার শাসন, আকরামের ক্রস ফায়ার, রিফিউজি হওয়া, প্যারিসের রিফিউজি জীবনের কষ্ট-বঞ্চনা-অপমান, আর তার সাথে সাথে গল্পের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের ইতিহাসের ন্যারেটিভ। গড়ে ওঠে এক নির্বাসিত বাংলাদেশির বিশ্বভাবনা। পদে পদে দেখিয়ে দেওয়া হয় এই দারিদ্র্যক্লিষ্ট বাংলাদেশের দুনিয়াকে দেওয়ার আছে অনেককিছু। পৃথিবী এই বাংলাদেশের কাছে হাত পাততে পারে তার সমস্যা মোকাবেলায়।
ফুলকুমারী
Details:
- প্রকাশনীঐতিহ্য
- লেখকপিনাকী ভট্টাচার্য
- পৃষ্ঠা সংখ্যা২৩৭
“ছেলেবেলায় শেখা একটা সুর বাজাতে যাব, এমন সময় ফোনটা কেঁপে ওঠে। ছেলের ফোন। নিশ্চয়ই তার ঘুমের সময় হয়েছে। বাবার মুখ না দেখে সে ঘুমোতে যায় না ভিডিও কলে। গত দুই বছর ধরে এভাবেই শুধু কথা বলার অনুমতি আমার।
- বাবা, তুমি সাবধানে আছো তো?
- আর কত সাবধান হব? তোকে ফেলে পালিয়ে এসেছি, এখন আবার ফ্ল্যাটের খাঁচায় বন্দি। যেন বেঁচে থাকাটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
- বেঁচে থাকাটা কি জরুরি না?
- জরুরি বইকি। কিন্তু শুধু বেঁচে থাকাটাই তো যথেষ্ট না রে বাবা!”
*
ফুলকুমারী মানে কী?
বইটার শুরু প্যারিসে কোভিডের লক ডাউন যেদিন শুরু হয়, সেদিন থেকে। লেখক তার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরছেন। অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়ে একটা ইদুর। ইদুরটা লেখকের পোষ মেনে যায়। তিনি নাম দেন ফুলকুমারী।
ফুলকুমারীকে লেখক গল্প বলতেন প্রত্যেকদিন; একটা করে অ্যারাবিয়ান নাইটসের মতো। জীবনের গল্প। সেই বগুড়ার শৈশব, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য, মুজিবের শাসন, মেডিক্যাল কলেজ জীবন, ছাত্র রাজনীতি, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, স্বল্পকালীন ডাক্তারী জীবন, অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট অ্যাক্টিভিজম, হাসিনার শাসন, আকরামের ক্রস ফায়ার, রিফিউজি হওয়া, প্যারিসের রিফিউজি জীবনের কষ্ট-বঞ্চনা-অপমান, আর তার সাথে সাথে গল্পের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের ইতিহাসের ন্যারেটিভ। গড়ে ওঠে এক নির্বাসিত বাংলাদেশির বিশ্বভাবনা। পদে পদে দেখিয়ে দেওয়া হয় এই দারিদ্র্যক্লিষ্ট বাংলাদেশের দুনিয়াকে দেওয়ার আছে অনেককিছু। পৃথিবী এই বাংলাদেশের কাছে হাত পাততে পারে তার সমস্যা মোকাবেলায়।
Hello! 👋🏼 What can we do for you?
12:34